ঢাকা , বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ , ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে-তথ্য উপদেষ্টা সর্বনিম্ন ফিতরা ১১০ সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৫ টাকা চলতি বছরের মধ্যে পাচারকৃত অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব-অর্থ উপদেষ্টা পদযাত্রায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী-পুলিশ আহত ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে করাসহ ৬ দাবি ঈদের পর এনসিপির চূড়ান্ত রাজনৈতিক এজেন্ডা শ্রমিকদের ওপর হামলার বিচার ও বেতনের দাবি ঝিমিয়ে পড়েছে বিদেশী বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুত অর্থছাড় প্রক্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং ক্লাস-প্রাইভেট পড়ানো যাবে না ন্যায়বিচার-মানবাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান চার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রবাসীদের জন্য ‘প্রক্সি ভোট’ নিয়ে ভাবছে ইসি শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ট্রেনের যাত্রী জিম্মি উদ্ধারে গিয়ে ২০ সেনা নিহত ট্রেনে জঙ্গি হামলা জিম্মি ৫শ’ যাত্রী পল্লবী থানায় ঢুকে হামলা ওসিসহ আহত ৩ রাখাল রাহার ৪শ’ কোটি টাকা বাণিজ্যের তথ্য ভুয়া ব্যবসায়ী হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন ডিএফপি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি

আমতলীতে আগাম তরমুজের ফলনে চাষিরা খুশিতে মাতোয়ারা

  • আপলোড সময় : ০৩-০৩-২০২৫ ০৯:৫৫:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-০৩-২০২৫ ০৯:৫৫:১৩ অপরাহ্ন
আমতলীতে আগাম তরমুজের ফলনে চাষিরা খুশিতে মাতোয়ারা
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রতিবছরই দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজের ফলন ভালো হয়। এ সিজনে চোখ দিতেই যেন চারদিকে সবুজের সমরোহ। বিস্তীর্ণ বালুচরেও সবুজ লতায় মোড়ানো গাছগুলো ছেয়ে আছে সবুজ পাতা  আর লতায়। এর ফাঁকে ফাঁকে রসালো ফল তরমুজ। যতদূরে চোখ যায় শুধু তরমুজের ডোরা ডোরা ছাপাই দেখা যাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের শেষের  দিকে লাগানো তরমুজের বীজ থেকে এখন তরমুজ ফল বিক্রিও হচ্ছে।
আমতলী উপজেলার উপকূলীয় গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিয়াখালী চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ওই এলাকার পতিত জমিতে আগাম তরমুজের ফলন হয়েছে। এ এলাকাটি নদীবর্তী চরে বালু ও কাদামাটিতে  ভরা এ চরাঞ্চল। এতে চাষিরা এক সিজনে ব্যাপক তরমুজের চাষ করেন আর বাকি সিজনে ধান চাষ করেন। এতে পানি ওঠানামা করায় ওই  জমিতে বাঁধ দিয়ে তরমুজের চাষ করেন চাষিরা।
আমতলী উপজেলা ঘুরে জানা গেছে, এ উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, হলদিয়া, সদর ইউনিয়ন, চাওড়া ও কুকুয়া ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরা এ বছর বীজের দাম গত বছরের তুলনায় কম। গত বছর তরমুজে লোকসান হওয়াতে অনেক চাষি তরমুজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বাজারে এক কৌটা (১০০ গ্রাম) বিগ ফ্যামিলি ২,৫০০ টাকা, জাগুয়া ২,২০০ টাকা ও এশিয়ান বীজ ১,৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চাষিরা জানান, ওষুধ ও বিজের দাম মাত্রাতিরিক্ত হয়নি। সেক্ষত্রে চাষিরা বেশি লাভবান হবেন এমনটাই প্রত্যাশা  এ চরাঞ্চলের সকল চাষিদের।
তরমুজ চাষিরা  গত ১৫ বছর ধরে স্থানীয় চাষিরা তরমুজ চাষ করে আসছেন। বালিয়াড়িতে উৎপাদিত তরমুজ আকারে ছোট হলেও স্বাদে ভালো হওয়ায় গ্রাহকের কাছে এসব তরমুজ পছন্দের। পাশাপাশি লাভ হওয়ায় চাষিরা ধারাবাহিক তরমুজ চাষ করে আসছেন। ইতোমধ্যে খেতের তরমুজ চার থেকে পাঁচ কেজি আবার কোনো কোনো তরমুজ আট থেকে দশ কেজি ওজনের হয় একেকটি তরমুজ।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা ছোট গুলিশাখালী, হলদিয়া ইউনিয়নের টেপুরা, কুকুয়ার আমরাগাছিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, খেত মালিকরা পুরো হরদমে তরমুজ বিক্রি করছেন।
কুকুয়ার লাল মিয়া বলেন, আমি এ বছর ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। বীজের দাম কম থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ কম হবে।
আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭০০ হেক্টর। এ বছর এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মাত্র ৪৯৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছেন চাষিরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪ হাজার ৫৯৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ দিগুণ হয়েছে। বেলে-দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় আমতলীতে রসালো তরমুজ চাষ ভালো হয়। আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে তরমুজের ফলন ভালো হয়। এ বছর ওই ইউনিয়নের চাষিরা লোকসানের ভয়ে তরমুজ চাষ করছেন না।
চাষিরা জানান, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা গুলিশাখালী গ্রামে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৫ কান জমিতে তরমুজ চাষ করে আসছেন চাষিরা। বর্তমানে তরমুজ খেত থেকে ফলন শুরু করেছে। সপ্তাহখানেক পর পুরোদমে বাজারজাত করা সম্ভব হবে এবং তিন ধাপে তরমুজ বিক্রি হবে।
গত ৮ বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসা তরমুজ চাষি শাহীন গাজি বলেন, আমি পাঁচ কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এতে খরচ বাদ দিয়ে লাখের উপরে লাভ হবে। একেকটি তরমুজ ৩০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। আমতলী উপজেলা সিনিয়র  কৃষি কর্মকর্তা  মো. ঈছা বলেন, এবছর আমতলী উপজেলার তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ হাজার ৫৯৪ হেক্টর। গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং বাজার  মূল্য ভালো থাকায়  কৃষকরা তরমুজ চাষে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়। এ কারণে এ বছর কৃষকদের ভিতরে তরমুজ চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, এ উপজেলা জুড়ে যত তরমুজ খেত রয়েছে। তার মধ্যে উপকূলের তরমুজগুলো বেশ সুস্বাদু। এতে আরো ফলন ভালো হওয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তাকে চাষিদের  যথেষ্ট পরামর্শ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য